To
The Honorable Chancellor and other Ministers of Federal Government, Federal Republic of Germany
Deutsche Welle
Mr.
Erik Bettermann, Director General of Deutsche Welle, Germany
International
Relations
Mr.
Klaus Bergmann, Head of International Relations, Deutsche Welle.
Mr. Johannes Hoffmann, Head of
Corporate Communications and spokesperson, Deutsche Welle
Ms. Martina Bertram, Editor
Corporate Communications, Deutsche Welle
Mr. Grahame Lucas,
Head of South Asia and South-East Asia, Deutsche Welle
Head of Deutsche
Welle, Bengali Service, Germany
General Management
Mr. Ansgar Burghof, Head
of General Management, Deutsche Welle.
Ms Ute Schaeffer, Editor-in-Chief
for Regionalized Content, Deutsche Welle
Mr. Christian Gramsch,
Director of Regionalized Content, Deutsche Welle
Mr. Dr. Reinhard
Hartstein, Administrative Director, Deutsche Welle
Broadcasting Board, Deutsche Welle, Germany
Mr. Valentin
Schmidt, Chairman, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Wolfgang
Börnsen, Deputy Chairman, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Fritz
Rudolf Körper, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Günter
Nooke, member, the
Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Hans-Jürgen
Beerfeltz, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Günter
Winands, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Ms. Dr.
Kerstin Kießler, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Johann-Adolf
Cohausz, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Dr. Karl
Jüsten, member, the
Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Ms. Vera
Szackamer, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Dr.
Michael Vesper, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Dr.
Sebastian Paust, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Ms. Inez
Kühn, member, the
Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr.
Dr. Klaus Reichert, member, the Broadcasting Board of Deutsche
Welle, Germany
Mr. Christian
Höppner, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Dr.
Hans-Uwe Erichsen, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Ms. Ute
Brüssel, member, the Broadcasting Board of Deutsche Welle, Germany
Administrative Board, Deutsche Welle, Germany
Mr. Peter
Clever, Chairman, Administrative Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Helmut
Stahl, Deputy Chairman, Administrative Board of Deutsche Welle, Germany
Ms.
Prof. Dr. Claudia Mast, member, Administrative Board
of Deutsche Welle, Germany
Mr. Reinhard
Grindel, member, Administrative Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Michael
Georg Link, member, Administrative Board of Deutsche Welle, Germany
Mr. Herzs
Krymalowski, member, Administrative Board of Deutsche Welle, Germany
Mr.
Frank Stöhr, member, Administrative Board of
Deutsche Welle, Germany
ডয়চে ভেলের বাংলা বেতারকে রক্ষা করুন
আগামী ১০ মার্চ থেকে এফএম সম্প্রচার বন্ধের মাধ্যমে বিশ্ব বেতার অঙ্গন থেকে ঝরে যাচেছ ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ। এ বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান জনাব গ্রাহাম লুকাস জানিয়েছেন ‘‘দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা এবং চিন্তা-ভাবনার পর ডয়চে ভেলের কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশে এফএম সম্প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ গত প্রায় তিন বছর যাবত বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে আমরা দিনে দু’বার দু’টি আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠান প্রচার করতাম ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬টি শহরে৷ আগামী ৯ই মার্চ এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবং তার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ডয়চে ভেলে বাংলার রেডিও সম্প্রচার৷''
বর্তমানে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের সম্প্রচারিত সপ্তাহে ৪২০ মিনিটের বেতার অনুষ্ঠানের পরিবর্তে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু করতে যাচ্ছে মাত্র একটি সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান। লুকাসের কথায় ‘‘বাংলাদেশে এফএম অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয় ছিল৷ এফএম-এর দুটি অনুষ্ঠানই বাংলাদেশে বেশ সফল৷ .. কিন্তু অন্য দিক চিন্তা করলে এটা অস্বীকার করা যায় না যে, মিডিয়া জগত খুব দ্রুত বদলাচ্ছে৷ আমরা নতুন এবং প্রযুক্তিগতভাবে আরো আধুনিক একটি যুগে প্রবেশ করছি৷ তাই অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মতো আমাদেরও আরো উন্নত হতে হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল মিডিয়ার কথা চিন্তা করে৷''
মিঃ গ্রাহামের কথায় বলছি বাংলাদেশে ডয়চে ভেলে বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান যদি সফলই হয়, তবে প্রচার বন্ধ করা হচ্ছে কেন? এটি কি স্ব-বিরোধীতা নয়? আর হ্যা মিডিয়া জগত পরিবর্তন হচ্ছে একথা সবার জানা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, দীর্ঘ ৩৭ বছরের ঐতিহ্য ডয়চে ভেলে বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান বন্ধ করে শুধুমাত্র একটি সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচার করলেই উন্নত মিডিয়ায় প্রবেশ করা যাবে? ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষ হয়ত তাই ভাবছেন! বাংলা অনুষ্ঠান বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৫/৩০ কোটি বাঙালীর উদ্দেশ্যে প্রচার হয়, যা এফএম ছাড়াও অনলাইনে শোনা যায়। একথা অনস্বীকার্য যে, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের শোতাদের অধিকাংশ বাস করেন গ্রামাঞ্চলে যেখানে কেবল-সংযোগসহ টেলিভিশন এমনকি কিছু কিছু অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহও অপ্রতুল। এই সমস্ত অঞ্চলের কোটি কোটি বাঙাালী শ্রোতারা কি ডয়চে ভেলের তথাকথিত উন্নত মিডিয়ার টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন? অবশ্যই নয়। যদি নাই পারেন, তবে বাংলা বেতার অনুষ্ঠান বন্ধ করে কাদের জন্য টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার?
মনে হচ্ছে ডয়চে ভেলে বেতারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগ্রহ হারাতে বসেছে। কিন্ত বেতার সম্প্রচার যে আবার স্ব-মহিমায় ফিরে এসেছে সেটি কি ডয়চে ভেলের কাছে উপেক্ষিত? বেতার সম্প্রচারের গুরুত্ব ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনেস্কো ইতিমধ্যেই ১৩ ফেব্র“য়ারিকে “বিশ্ব বেতার দিবস” ঘোষণা করেছেন। এইত মাত্র কয়েক দিন পূর্বেই ইউনেস্কোসহ বিশ্বের হাজার হাজার বেতার কেন্দ্র ও কোটি কোটি বেতার প্রেমিরা বিপুল উতসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করল ২য় ”বিশ্ব বেতার দিবস”। বিশ্ব বেতার দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব জনাব বান কি মুন, ইউনেস্কোর মহাপরিচালকসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও বেতার প্রেমীরা বেতারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা স্বীকার করে এর উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ঠিক এমনি এক মুহুর্তে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ বন্ধের ঘোষণা শুধু অপ্রত্যাশিত নয়, আমার কাছে সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসুত মনে হচ্ছে।
তাই জার্মান সরকার এবং ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন সালাম, রফিক, বরককতসহ নাম না জানা অসংখ্য বাঙালীর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এবং আর্ন্তাতিকভাবে স্বীকৃত কোটি কোটি বাঙালীর প্রাণের ভাষা, মায়ের ভাষা ’বাংলা’য় ডয়চে ভেলের বেতার সম্প্রচার অব্যাহত রাখার। দয়া করে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ বন্ধের সিদ্ধান্তটি কি একটু ভেবে দেখবেন?
আগামী ১০ মার্চ থেকে এফএম সম্প্রচার বন্ধের মাধ্যমে বিশ্ব বেতার অঙ্গন থেকে ঝরে যাচেছ ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ। এ বিষয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান জনাব গ্রাহাম লুকাস জানিয়েছেন ‘‘দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা এবং চিন্তা-ভাবনার পর ডয়চে ভেলের কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশে এফএম সম্প্রচার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ গত প্রায় তিন বছর যাবত বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে আমরা দিনে দু’বার দু’টি আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠান প্রচার করতাম ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৬টি শহরে৷ আগামী ৯ই মার্চ এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবং তার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ডয়চে ভেলে বাংলার রেডিও সম্প্রচার৷''
বর্তমানে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের সম্প্রচারিত সপ্তাহে ৪২০ মিনিটের বেতার অনুষ্ঠানের পরিবর্তে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু করতে যাচ্ছে মাত্র একটি সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান। লুকাসের কথায় ‘‘বাংলাদেশে এফএম অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা আমাদের জন্য সত্যিই গর্বের বিষয় ছিল৷ এফএম-এর দুটি অনুষ্ঠানই বাংলাদেশে বেশ সফল৷ .. কিন্তু অন্য দিক চিন্তা করলে এটা অস্বীকার করা যায় না যে, মিডিয়া জগত খুব দ্রুত বদলাচ্ছে৷ আমরা নতুন এবং প্রযুক্তিগতভাবে আরো আধুনিক একটি যুগে প্রবেশ করছি৷ তাই অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মতো আমাদেরও আরো উন্নত হতে হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল মিডিয়ার কথা চিন্তা করে৷''
মিঃ গ্রাহামের কথায় বলছি বাংলাদেশে ডয়চে ভেলে বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান যদি সফলই হয়, তবে প্রচার বন্ধ করা হচ্ছে কেন? এটি কি স্ব-বিরোধীতা নয়? আর হ্যা মিডিয়া জগত পরিবর্তন হচ্ছে একথা সবার জানা। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, দীর্ঘ ৩৭ বছরের ঐতিহ্য ডয়চে ভেলে বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান বন্ধ করে শুধুমাত্র একটি সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রচার করলেই উন্নত মিডিয়ায় প্রবেশ করা যাবে? ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষ হয়ত তাই ভাবছেন! বাংলা অনুষ্ঠান বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ২৫/৩০ কোটি বাঙালীর উদ্দেশ্যে প্রচার হয়, যা এফএম ছাড়াও অনলাইনে শোনা যায়। একথা অনস্বীকার্য যে, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের শোতাদের অধিকাংশ বাস করেন গ্রামাঞ্চলে যেখানে কেবল-সংযোগসহ টেলিভিশন এমনকি কিছু কিছু অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহও অপ্রতুল। এই সমস্ত অঞ্চলের কোটি কোটি বাঙাালী শ্রোতারা কি ডয়চে ভেলের তথাকথিত উন্নত মিডিয়ার টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন? অবশ্যই নয়। যদি নাই পারেন, তবে বাংলা বেতার অনুষ্ঠান বন্ধ করে কাদের জন্য টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার?
মনে হচ্ছে ডয়চে ভেলে বেতারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগ্রহ হারাতে বসেছে। কিন্ত বেতার সম্প্রচার যে আবার স্ব-মহিমায় ফিরে এসেছে সেটি কি ডয়চে ভেলের কাছে উপেক্ষিত? বেতার সম্প্রচারের গুরুত্ব ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনেস্কো ইতিমধ্যেই ১৩ ফেব্র“য়ারিকে “বিশ্ব বেতার দিবস” ঘোষণা করেছেন। এইত মাত্র কয়েক দিন পূর্বেই ইউনেস্কোসহ বিশ্বের হাজার হাজার বেতার কেন্দ্র ও কোটি কোটি বেতার প্রেমিরা বিপুল উতসাহ উদ্দীপনার সাথে পালন করল ২য় ”বিশ্ব বেতার দিবস”। বিশ্ব বেতার দিবসে জাতিসংঘের মহাসচিব জনাব বান কি মুন, ইউনেস্কোর মহাপরিচালকসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও বেতার প্রেমীরা বেতারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা স্বীকার করে এর উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ঠিক এমনি এক মুহুর্তে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ বন্ধের ঘোষণা শুধু অপ্রত্যাশিত নয়, আমার কাছে সম্পূর্ণ অবিবেচনাপ্রসুত মনে হচ্ছে।
তাই জার্মান সরকার এবং ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন সালাম, রফিক, বরককতসহ নাম না জানা অসংখ্য বাঙালীর আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এবং আর্ন্তাতিকভাবে স্বীকৃত কোটি কোটি বাঙালীর প্রাণের ভাষা, মায়ের ভাষা ’বাংলা’য় ডয়চে ভেলের বেতার সম্প্রচার অব্যাহত রাখার। দয়া করে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ বন্ধের সিদ্ধান্তটি কি একটু ভেবে দেখবেন?
No comments:
Post a Comment